রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
রংপুর মহানগরীসহ বিভাগের আট জেলার মানুষকে গ্রন্থমুখী করার লক্ষ্যে বেসরকারি নিবন্ধিত গ্রন্থাগার কাজ করছে। বিভাগের ৮ জেলায় মোট ৩৭৮টি গ্রন্থাগার বা পাঠাগার রয়েছে। জাতির মনন ও মেধার বিকাশে এবং আলোকিত মানুষ গঠনে বই অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে। এতে পাঠকগণের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে উঠছে এবং তাঁরা জ্ঞানসমৃদ্ধ হচ্ছে।
জানাগেছে, রংপুর বিভাগে ৩৭৮টি গ্রন্থাগার রয়েছে। এসব নিবন্ধিত বেসরকারি গ্রন্থাগারের মধ্যে রংপুরে ৬২টি, নীলফামারীতে ৭০টি, কুড়িগ্রামে ৬৫টি, গাইবান্ধায় ৫৪টি, লালমনিরহাটে ২০টি, দিনাজপুরে ৭৮টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩টি ও পঞ্চগড়ে ১৬টি। এসব গ্রন্থাগারে যেকোনো বয়সের পাঠকের বই পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধনধারী পাঠকগণ গ্রন্থাগার থেকে প্রয়োজনীয় বই ধার নিতে পারেন। এর ফলে পাঠকগণের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে উঠছে এবং তাঁরা জ্ঞানসমৃদ্ধ হচ্ছেন। যেখানে রাশি রাশি গ্রন্থ ও তথ্যভান্ডারের সংস্পর্শে এসে মানুষ নিজেদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে। সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারকে জ্ঞানবিজ্ঞানের বাতিঘর হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এক তথ্যে জানাগেছে,বেসরকারি নিবন্ধিত গ্রন্থাগারের উন্নয়নে সরকার প্রতিবছর অনুদান ও বিনামূল্যে বই প্রদান করছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকার দেশের মোট ৯১৫টি নিবন্ধিত বেসরকারি গ্রন্থাগারের অনুক‚লে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছে। নিবন্ধিত গ্রন্থাগারসমূহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাইপূর্বক এই অনুদান প্রদান করা হয়। প্রতিবছর সরকারের অনুদান ও বিনামূল্যে বই প্রদান কার্যক্রমের ফলে বেসরকারি নিবন্ধিত গ্রন্থাগারসমূহ সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এবিষয়ে গণগন্থাগার অধিদপ্তর রংপুরের সহকারি পরিচালক আবেদ হোসেন বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারকে জ্ঞানবিজ্ঞানের বাতিঘর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এজন্য সরকারিভাবে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।